রাত দশটার পর ছাদে আসে। গান গায়। আকাশের দিকে
মুখ করে, অন্ধকারে। পড়শী বাড়ির কেউ একজন। সে
সুরের জাদুতে সম্মোহিত, সে সময়, চারপাশ । অদ্ভুত এক
আর্তি, তন্ময়তা, সে কন্ঠে। আমাদের কপালের বিকট সব
ভাঁজ মুছে, ফুঁটে উঠে প্রশান্তি। আকাশ নেমে আসে নিঃশব্দে।
আর রাত ঘুমিয়ে পরে গভীর থেকে গভীরে।
মুখ করে, অন্ধকারে। পড়শী বাড়ির কেউ একজন। সে
সুরের জাদুতে সম্মোহিত, সে সময়, চারপাশ । অদ্ভুত এক
আর্তি, তন্ময়তা, সে কন্ঠে। আমাদের কপালের বিকট সব
ভাঁজ মুছে, ফুঁটে উঠে প্রশান্তি। আকাশ নেমে আসে নিঃশব্দে।
আর রাত ঘুমিয়ে পরে গভীর থেকে গভীরে।
ভোরের কাগজ আর চা দিতে এসে গিন্নী বললো, শোনো –
পাড়ায় অঘটন ঘটেছে। গতরাতে, ছাদ থেকে পরে মারা
গেছেন, পাশের বাড়ির কাকীমা। রাতে ইনিই গান গাইতেন
ছাদে। এই দেখো, ছবিসহ খবর বেরিয়েছে, কাগজে।
পাড়ায় অঘটন ঘটেছে। গতরাতে, ছাদ থেকে পরে মারা
গেছেন, পাশের বাড়ির কাকীমা। রাতে ইনিই গান গাইতেন
ছাদে। এই দেখো, ছবিসহ খবর বেরিয়েছে, কাগজে।
মূহুর্তে ফাঁকা হয়ে গেল মাথার ভেতর! রঙীন ছবিতে
একটি কালো তিল তখনো চক্ চক্ করছে কাকীমার
চিবুকে! মায়ের মুখ মনে পড়ে গেলো ।ঝাপসা হয়ে এলো
সব। বিশাল এক শূণ্যতা, বুকের ভেতর ডুকরে উঠলো -
একটি কালো তিল তখনো চক্ চক্ করছে কাকীমার
চিবুকে! মায়ের মুখ মনে পড়ে গেলো ।ঝাপসা হয়ে এলো
সব। বিশাল এক শূণ্যতা, বুকের ভেতর ডুকরে উঠলো -
যে গানে সম্মোহিত হয়ে পড়তো চারপাশ
যে গানে আকাশ নেমে আসতো কাছে
যে গানে মুছে যেতো কপালের বিকট সব ভাঁজ
যে গানে ফুঁটে উঠতো দিনান্তে প্রশান্তি
যে গানে আকাশ নেমে আসতো কাছে
যে গানে মুছে যেতো কপালের বিকট সব ভাঁজ
যে গানে ফুঁটে উঠতো দিনান্তে প্রশান্তি
সে তুমি আর নাই ! সে তুমি...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন